Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the zox-news domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/emirzfsw/bgdnews.com/wp-includes/functions.php on line 6121
উঠানে বাবার মরদেহ, সম্পত্তি ভাগাভাগিতে ব্যস্ত ৯ সন্তান – বিজিডি নিউজ
Connect with us

অপরাধ

উঠানে বাবার মরদেহ, সম্পত্তি ভাগাভাগিতে ব্যস্ত ৯ সন্তান

Published

on

সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সালিশে উপস্থিত এলাকাবাসি। ছবি : কালবেলা

বাড়ির উঠানে বাবার মরদেহ রেখে সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সালিশে ব্যস্ত ৯ সন্তান। বুধবার (২৬ মার্চ) ভোর ৬টার দিকে মৃত্যু হলেও এদিন রাত ১০টা পর্যন্ত বাড়ির উঠানে পড়ে ছিল বৃদ্ধ বাবার মরদেহ।

সালিশ শেষে ১৬ ঘণ্টা পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মেম্বার ও এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে মরদেহের দাফন করা হয়। সন্তানদের এমন কীর্তি দেখে হতবাক হয়েছে গ্রামবাসী।

ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের কোটা গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম হাবিবুর রহমান বিশ্বাস (৭২)। তিনি একজন কৃষক ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, মৃত হাবিবুর রহমান বিশ্বাসের চার স্ত্রী ও ৯ সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ছোট স্ত্রী ও তার ছোট ছেলে সোহেল বিশ্বাসের সঙ্গে কোটা গ্রামে বসবাস করতেন। মৃত্যুর পূর্বে ছোট স্ত্রীর নামে ৮৩ শতাংশ জমি লিখে দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পর্যায়ে কয়েকবার সালিশের আয়োজন করেছিল অন্য স্ত্রী ও সন্তানরা। কিন্তু সিদ্ধান্তের বিষয়ে অটল ছিলেন তিনি।

বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হাবিবুর রহমান বিশ্বাসের মৃত্যুর খবর শুনে সকালে বাড়িতে আসেন ছেলে আতাউর রহমান, সুমন, আনোয়ার ও হাফিজুর। জমিজমার বিরোধ না মেটা পর্যন্ত বাবার মরদেহ দাফন করতে বাধা সৃষ্টি করেন তারা। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মেম্বার ও এলাকাবাসীকে ডেকে বাড়ির উঠানের এক পাশে সালিশ বসানো হয়। এসময় উঠানে খাটিয়ার ওপর মরদেহ পড়ে ছিল।

মৃতের ছোট ছেলে সোহেল বিশ্বাস বলেন, বাবার কবর পর্যন্ত খুঁড়তে দেয়নি। আমার মায়ের নামে লিখে দেওয়া ৮৩ শতাংশ জমির মধ্য থেকে ৫০ শতাংশ সৎ ভাইদের নামে লিখে দেওয়ার শর্তে মুচলেকা দেওয়ার পর কবর খুঁড়তে ও দাফন করতে দেয় তারা। মৃত্যুর ১৬ ঘণ্টা পর বাবার মরদেহ দাফন করতে হয়েছে। আল্লাহ ওদের বিচার করবেন।

সালিশে উপস্থিত ইউপি মেম্বার কামরুজ্জামান মজুমদার কালবেলাকে বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধ সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়েছে। রাত ১০টার পর মরদেহের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চলিশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সানা আব্দুল মান্নান কালবেলাকে বলেন, মরদেহ ফেলে রাখার ঘটনা দুঃখজনক। বিষয়টি জানার পর আমার প্রতিনিধি, মেম্বার ও এরাকাবাসী সালিশের মাধ্যমে তাদের পারিবারিক সমস্যার মীমাংসা করেছেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement